Saidur Trainer 2 years ago |
রোজা শেষে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের জোগান দেওয়া ও ক্লান্তি দূর করার জন্য খেজুরের গুরুত্ব অপরিসীম। সকালে খালি পেটে খেজুর দারুণ উপকারি মানব শরীরে জন্য। খেজুরে আছে প্রচুর শক্তি, এমিনো এসিড, শর্করা ও মিনারেল। প্রতিদিন রোজা রাখার কারণে দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকতে হয়। যার কারণে মানব দেহে প্রচুর গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দেয়। এসময় খেজুর মানব শরীরের প্রয়োজনীয় গ্লুকোজ যোগান দিতে সাহায্য করে।
এতে কোন কোলেস্টেরল বা বাড়তি পরিমাণে চর্বি নেই। যারফলে যেকোনো সময়ই খেজুর খাওয়া যায়। শরীরের জন্য প্রোটিন অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। খেজুর হল প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার। ফলে শরীরের পেশী গঠন করতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক বি-১, বি-২, বি-৩ এবং বি-৫। এছাড়াও ভিটামিন এ-১ এবং সি রয়েছে। এটি দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও কার্যকর। প্রচুর আয়রন থাকায় এটি হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাই যাদের দুর্বল হৃৎপিণ্ড, তাদের জন্য এটি হতে পারে সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ। ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা যায়, খেজুর পেটের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের ক্যানসারে ঝুঁঁকিটাও কম থাকে। মাত্র কয়েকটা খেজুর কমিয়ে দেয় ক্ষুধার জ্বালা। পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। এই কয়েকটা খেজুরই শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে। এটি পরিপাকে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। ডায়রিয়ার জন্যেও উপকার। যকৃতের সংক্রমণেও বেশ উপকারী। এছাড়া গলা ব্যথা, বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি এবং ঠাণ্ডায় খেজুর উপকারী।
Alert message goes here